নাসা স্পেস সেটেলমেন্ট কনটেস্ট ২০২৩-এ অংশ নিয়ে ‘প্রজেক্ট ক্লেমেনশিয়া’ তৈরি করে ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার গ্রেড-৮-এর ৬ শিক্ষার্থী। প্রকল্পটি প্রতিযোগিতায় ‘গ্রেড ৮ লার্জ গ্রুপ ক্যাটাগরিতে’ প্রথম স্থান অধিকার করেছে। 

অধ্যাপক ও’নীলের চিন্তা ও নীরিক্ষার পদ্ধতি অনুসরণের মধ্য দিয়ে ১৯৯৪ সাল থেকে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে নাসা স্পেস সেটেলমেন্ট কনটেস্ট। মুক্তভাবে মহাশূন্যে বসতিস্থাপনের ধারণা ছাড়া এই প্রকল্পে শিক্ষার্থীদের জন্য আর কোনো নির্দিষ্ট ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। 

বসতিগুলোকে অবশ্যই স্থায়ী আবাস হিসেবে তৈরি করতে হবে, অস্থায়ী কোনো আবাস বা ক্যাম্প হিসেবে তৈরি করা যাবে না। কোনো গ্রহ বা উপগ্রহে এই বসতিস্থাপন চলবে না, তবে বসতির কার্যক্রম সহজ করার জন্য সেখানে খননকাজ করা যাবে। মহাশূন্যে বসতিস্থাপন এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত মাইনিং, বসতির বিস্তারে কার্যক্রম, সেখানকার অর্থনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রমের মতো একটি বা কয়েকটি বিষয় নিয়ে প্রকল্পটি শেষ করতে হবে। 

এ বছর প্রতিযোগিতায় ১৯টি দেশের ২৬ হাজার ৭২৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে ৭-১২ গ্রেডের শিক্ষার্থীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ প্রক্রিয়া ডিসেম্বরে শুরু হয়ে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত চলে। মার্চের শেষে বিজয়ী প্রতিযোগীদের নাম ঘোষণা করা হয়। দ্য নাসা এমেস রিসার্চ সেন্টার ও দ্য ন্যাশনাল স্পেস সোসাইটি (এনএসএস) এই প্রতযোগিতার স্পন্সর। 

ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকা থেকে ২ গ্রুপ শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। গ্রেড ৭ এর ৭ জন শিক্ষার্থী ‘প্রজেক্ট এলিসিয়াম’ ও গ্রেড ৮ এর ৬ জন শিক্ষার্থী ‘প্রজেক্ট ক্লিমেনশিয়া’ নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। শিক্ষার্থীরা এনএসএস’এর দ্য অ্যাওয়ার্ডফোর্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনলাইনে প্রকল্পগুলো জমা দেয়। প্রজেক্ট ক্লিমেনশিয়া’র বিজয়ী প্রতিযোগীরা হচ্ছেন- মোহাম্মদ মোহাইমিন উদ্দিন নাইব, মো. ফারজান আলি, আয়াত গুলফাম মাহমুদ, কে এ আদিয়ান সাদিক, পরীক্ষিত সিং ও আবরার এহসান। 

এ বিষয়ে ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার প্রিন্সিপাল ড. শিবানন্দ সিএস বলেন, ‘প্রথমবারের মতো স্পেস সেটেলমেন্ট কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে বলায় অনেক শিক্ষার্থীই ইতস্ততবোধ করছিল, কারণ তাদের আগে এখান থেকে কেউ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়নি। তবে, অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা দলগতভাবে নিবেদিত হয়ে নিজেদের নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছে। প্রকল্পের প্রস্তুতি চলাকালে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরাও সমানভাবে মেধার স্বাক্ষর রাখেন। প্রজেক্ট ক্লেমেনশিয়ার মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা এ গৌরব অর্জন করায় আমরা সত্যিই অভিভূত। আমরা আশা করি, মহাকাশ ও জোতির্বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতেও তারা তাদের অসামান্য প্রচেষ্টা অব্যহত রাখবে।’

প্রকল্প জমাদান প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর ছিলেন- রঞ্জিত এস, শাহেদ বুলবুল পাপন, আমেনা দেওয়ান, বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য, হ্যান্স অঙ্কুর ব্যাপারী ও আশিস চ্যাটার্জি।

Media Link: The Daily Star