প্রতিদিন নিজেকে গড়া
স্মার্ট এই শিক্ষাক্রমের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতে হলে সবার আগে শিক্ষকদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা কী শিখবে, কিভাবে তারা নতুন কিছু শেখার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে, কিভাবে নতুন নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি হবে, সেই বাস্তবতাকে কিভাবে সমাধান করবে—এসব নির্ভর করে একজন শিক্ষকের ব্যক্তিগত দক্ষতার ওপর। বিশেষ করে এই কর্মমুখী ও অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষাক্রমে দক্ষ শিক্ষকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য আরো বেড়ে গেল।
নতুন এই শিক্ষাক্রমে স্মার্ট প্রজন্ম গড়ে তোলার উপযোগী কর্মমুখী শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কেবল চাকরির বাজারের জন্য শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে তোলা নয়, একই সঙ্গে তাদের উদ্যমী ও উদ্যোগী করে তোলা, যেকোনো পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ও সেখান থেকে প্রয়োজনীয় শিক্ষার্জন করা এই শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য। আর এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমবহির্ভূত কার্যক্রম (এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ) বিশেষভাবে সহায়ক হবে। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে নিজের কাজ নিজে করা থেকে শুরু করে যোগাযোগ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, নেতৃত্ব, একতার মনোভাব, একসঙ্গে সমস্যা সমাধানের প্রবণতার মতো গুণের বিকাশ ঘটবে। এ ক্ষেত্রে পরবর্তী প্রজন্মকে দক্ষ ও স্মার্ট করে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের পাশাপাশি স্কুল, অভিভাবক, এমনকি বন্ধুবান্ধবেরও এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
আগামী প্রজন্মকে বিশ্ব নাগরিক করে গড়ে তুলতে হলে শেখা ও শেখানো এই দুই ক্ষেত্রেই আমাদের সমান গুরুত্ব দিতে হবে। আর নতুন কিছু শেখার প্রতি আগ্রহী করে তোলাই হতে পারে এই যাত্রার প্রথম পদক্ষেপ।
লেখক : ভাইস প্রিন্সিপাল, দিল্লি পাবলিক স্কুল, ঢাকা
News Link: https://www.kalerkantho.com/print-edition/sub-editorial/2024/02/23/1365907